জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্নজনের নানা রকম বক্তব্যে ‘জনমনে বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন এ বক্তব্য দেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে ‘ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচার এবং ভারতীয় আগ্রাসন’ রুখে দিতে ওই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১২–দলীয় জোট।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা ঠিক করুন কে কোন কথা বলবেন, দায়িত্ব নিয়ে বলবেন। একেকজন একেক কথা বললে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, আপনারা সার্থক হোন, সফল হোন। মানুষ বিভ্রান্ত হোক…এ রকম কোনো বক্তব্য থেকে সব সময় আপনাদের নিবৃত্ত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছে। অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন করতে কত দিন লাগে সেটি দেশের মানুষ জানে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে, সে জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।
অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সব সংস্কার তো আপনারা করতে পারবেন না। কখন নির্বাচন হবে সেটা স্পষ্ট করুন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন একরকম, আবার তাঁর প্রেস সচিব বলেন আরেক রকম। আপনাদের তো আমরাই সবাই মিলে সহযোগিতা করছি। আপনারা কে কথা বলবেন, দায়িত্ব নিয়ে বলুন। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবেন।’
১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। এখন উপদেষ্টাদের কেউ কেউ কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা করছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আমরা আবার দাঁড়াব।’