শীতলক্ষ্যা নদী থেকে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে মাধবদী নৌপুলিশ।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর ) রাতে শীতলক্ষ্যা নদীর ঘোড়াশাল সেতু সংলগ্ন সেভেন রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরীরএলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের টহল টিম সঙ্গীয় ফোর্স সহ এস আই হালিম শীতলক্ষা নদীতে একটি মাথাবিহীনলাশের সন্ধান পেলে তা নরসিংদীর মাধবদী গঙ্গাচর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করে। পরবর্তীতে নৌপুলিশের একটি টিম এস আই নাঈম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১.৪৫ দিকে মাথাবিহীনমৃত দেহটি উদ্ধার করে।
অনেক খোজাখুজির পরও মৃতদেহের মাথা খুজে না পেয়ে মৃতদেহটি গাজীপুর শহীদতাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল মর্গে প্রেণরণ করেন। এ ঘটনায় নৌপুলিশের এস আইনাঈম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ৮ (১০) নং একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে বক্তাপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন গত ৫ দিন যাবৎ নিখোঁজ থাকায় তারকন্যা জাকিয়া আক্তার থানায় নিখোঁজ এর সংবাদ জানাইলে থানা সূত্রে জানতে পারে মাধবদী নৌপুলিশএকটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এমন সংবাদে জাকিরের মেয়ে চাচীর সাথে মাধবদী গঙ্গাচর নৌ পুলিশ ফাঁড়িতেযায়। পরে মৃতের ছবিতে হাতে একটি ট্যাটু ও পরিহিত জামা কাপড় দেখে নিশ্চিত করে বলেন এটি তাঁর বাবারলাশ। নৌপুলিশের সাথে কথা বলে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেময়না তদন্তের পরে লাশ কালীগঞ্জ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে জাকিয়া আক্তারকালীগঞ্জ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০\২৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে কালীগঞ্জ থানায় ১১ অক্টোবরএকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় অভিযোগে উল্লেখিত ১নং বিবাদী খৈইকরা গ্রামেররুকুন উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন এবং ২ বিবাদী নিহত জাকিরের স্ত্রী রেহেনা বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তাদেরপরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ অশান্তি চলছিল। এ কারণে গত দুইমাস পূর্বে জাকিরের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাবারবাড়িতে চলে যায়। ৬ই অক্টোবর রবিবার জাকিরের স্ত্রী রেহেনা বেগম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাকির হোসেনকে জানায় তার বড়ভাই দুর্ঘটনায় আহত। এ সংবাদ পাওয়ার পর জাকির তার স্ত্রীর বড় বোনকে ঘোড়াশালমিয়া পাড়া এলাকা থেকে নিয়ে শশুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে রওনা করে। তার পর থেকে তার কোনখোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। শনিবার ১২ অক্টোবর বিকেলে জানাজা নামাজ শেষে জাকিরের মৃতদেহএলাকার কবরস্থানে দাফন করেন।নিহতের ২টি সন্তান, ছেলে সাকিব ও মেয়ে জাকিয়া বেগম।