Search
Close this search box.

বাগমারার দামনাশ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দামনাশ-পারদামনাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মাহাবুব আলমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার নেপথ্যে রয়েছেন একই বিদ্যলয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আনিছার রহমান বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে শিক্ষকের উপর হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক আনিছার রহমান। শিক্ষক মাহাবুব আলমের উপর ওই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন মানুষের ব্যানারে বিদ্যালনের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক মাহাবুব আলমের উপর হামলা ও পিটিয়ে জখমকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। সেই সাথে শিক্ষক আনিছার রহমানকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবী করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন সহকারি প্রধান শিক্ষক আনিছার রহমান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। গত ১৪ জুন ২০২৩ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বেঁকে বসেন পূর্বের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছার রহমান। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থা দেখে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ১৩ অক্টোবর শিক্ষকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।

বৈঠকে মীমাংসা ছাড়াই শিক্ষক আনিছার রহমানের লোকজন অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী নবাব (৩০) নামের এক যুবককে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। ওইদিন বিকেলে শিক্ষক মাহাবুব আলম বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরার পথে মাড়িয়ার মোড় নামক স্থানে ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শিক্ষকের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা শিক্ষককে এলোপাথারি পিটিয়ে জখম করেন। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন। ওই ঘটনার জের ধরেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন মানুষের ব্যানারে হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আনিছার রহমান হামলার সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয় বলে দাবী করেন। তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে এমন কর্মকান্ড করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।