ঢাকার তুরাগ এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই মাসের আট তারিখে তুরাগ থানার নলভোগ মৌজায় ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আলিম ও জুলকার নাইন নামের উত্তরার দুই ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন দুই খন্ড জমি রয়েছে তুরাগের নলভোগ মৌজার ধরেঙ্গাগারটেক গ্রামে। সুন্দর পজিশন ও মূল্যবান জমি হওয়ায় স্থানীয় একটি দুর্বৃত্ত চক্রের নজরে পড়ে জমি দুইটি। আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলর নাসিরের ছত্রচ্ছায়ায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আতশ আলী ও আক্কাস আলী জমি দুইটি অপদখলের চেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন সময় বাউন্ডারির বেড়া কেটে নিয়ে যায়, সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। জমির মালিক ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের উপর হামলাও করা হয় । তখন তুরাগ থানায় অভিযোগ করে সাময়িকভাবে নিষ্কৃতি পান জমির মালিক আলিম ও জুলকার নাইন।
গত ৫ই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কাউন্সিলর নাসির আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু আতশ আলী ও আক্কাস আলী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অন্য গ্রুপের সাথে সমঝোতা করে এলাকায় প্রভাব ধরে রাখে। সম্প্রতি স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দাগী আসামী সোহরাব ও বাবুল হোসেন এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারা আতশ আলী ও আক্কাস আলীর দেখানো পথে ৩৩০৬ ও ৩৩০৯ নাম্বার সিটি দাগের দুই খন্ড জমি দখলের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক বাবুল ও সোহরাবের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসী মাটি সাগর, মফিদুল ইসলাম সুমন, জাহিদুল আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী আতশ আলী ও আক্কাস আলী ওই দুই খন্ড জমির সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। সাইনবোর্ড ভাঙ্গার পর সোহরাব, বাবুল ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা জমির মালিক আলিম ও জুলকার নাইনের উদ্দেশ্যে হুমকি ধামকি ও গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে চার- পাঁচ দিন আগে জমির মালিক আলিম ও জুলকার নাইন শ্রমিক নিয়ে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে সোহরাব ও বাবুলের নেতৃত্ব সন্ত্রাসী মাটি সাগর, আক্কাস আলী, আতশ আলী, বাবুল সহ আরো কয়েকজন তাদের ধাওয়া করে ও হামলা করে। তখন আলিম, জুলকার নাইন ও শ্রমিকরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জমির মালিক আলিম দৈনিক সংবাদ প্রবাহকে জানান, আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় আর্মি ক্যাম্প ও তুরাগ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। আশাকরি সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হবে। আইনের আওতায় আসবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।