‘যে আমলারা বাটপারি করেছে, যে আমলারা গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দালালি করেছে, সে দালালদের দিয়ে আপনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিস্থাপন করেছেন। যে আমলারা রেগুলার ৯টা-৫টা দায়িত্ব পালন করতে পারে না, সে আমলাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন, আমলারা কি ফেরেশতা? প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে, সেটা আমলারা করেছে, রাজনীতিবিদরা করেছে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর) কাউন্সিলর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম-সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি আরও বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের সবাইকে বাতিল করে দিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়া। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখন পলাতক। মানুষ সেবা পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন কোনো জিনিস বাতিল করবেন তখন সেটা যতই ন্যায্য হোক, বাতিলের পরে কী প্রতিস্থাপন হবে তা ঠিক করতে হবে।
আপনি যে যুক্তিতে বাতিল করেছেন, সেটা হচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য বাতিল করেছেন। এদের পরিবর্তে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমলারা রাতের ভোট করেছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে। আমলারা প্রত্যেকে ৩৫ লাখ ৪০ লাখ করে টাকা নিয়েছে নির্বাচনে।
তিনি আরও বলেন, একটা তালিকা করে আপনাদের মধ্যে কারা কারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলো না, কারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলো না, এইধরনের ক্রাইটেরিয়া সিলেক্ট করে আবার আপনাদের কাজে পুনর্বহাল করতে হবে।
বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ছাত্র গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে।’ সারা দেশের সিটি ও পৌর কাউন্সিলরগণ এই সমাবেশে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম-সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ প্রমুখ।