এম রেজাউল ইসলাম নওগাঁ :নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের কতিপয় চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা প্রকাশো দিবালোকে জঞ্জালী কালিমাতা পূজা মন্ডপের দেবত্তর সম্পত্তির প্রায় ৬ (ছয়) বিঘা জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় জঞ্জালী কালিমাতা পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি শ্রী সুশীল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে তুহিন কবিরাজ, আইনাল মন্ডল, মমতাজ সোনার, মোজাম্মেল সোনার সহ প্রায় ৩০/৪০ জন আসামী করে মহাদেবপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের জঞ্জালী কালিমাতা পূজা মন্ডপের দেবত্তর সম্পত্তি নিয়ে কয়েক বছর থেকেই আসামীদের সাথে মন্ডপ কমিটির সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
ঘটনার বিষয়ে জঞ্জালী কালিমাতা পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি শ্রী সুশীল চন্দ্র দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা পূর্ব পুরুষদের আমল থেকেই উক্ত সম্পত্তি জঞ্জালী কালিমাতা পূজা মন্ডপের হিসেবে চাষাবাদ করে আসছি। ১৯২০ সালের সিএস রেকর্ড দেবত্তর হিসেবেই রয়েছে তবে এসএ ও আরএস খতিয়ানে ভুলক্রমে এক মুসলমান কে জমাদার করে রেকর্ড হয় সেই সুযোগ গ্রহণ করে বিভিন্ন সময় আসামীরা আমাদের পূজা মন্ডপের জমি দখল করার চেষ্টা করে আসতো। আমরা মন্ডপ কমিটির সদস্যরা রেকর্ড সংশোধন করার জন্য মামলা করি। মামলার শুনানি অন্তে ২০১০ সালে আমাদের মন্ডপের নামে রায় হয় তখন আসামীরা আবারো আপিল করলে আপিল শুনানি অন্তে ২০২২ সালে আবারো মন্ডপের পক্ষেই রায় হয়।
আমরা পূর্ব পুরুষদের আমল থেকেই এই জমির উৎপাদিত ফসল হতে যা অর্থ আসে তা দিয়ে মন্ডপের পূজা আর্চনা করে থাকি। সর্বশেষ আমরা আমন ধান রোপন করেছিলাম এখন হঠাৎ তারা আমাদের ভয়ভতিী হুমকি দেখিয়ে ৩০/৪০ জন লোক এসে আমাদের পূজা মন্ডপের প্রায় ৬ (ছয়) বিঘা জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমরা থানায় মামলা করেছি আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই এখন এর সুষ্ঠ তদন্ত করে আমাদের পূজা মন্ডপের ধান উদ্ধার যেন করে দেয় প্রশাসন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত আলী জানান, ধান কাটার ঘটনা সত্য এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে । তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে