সড়ক দুর্ঘটনা কতখানি কমবে সেটি সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা যখন প্রথম শুরু করেছিলাম তখন থেকে সরকারের সাথে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সরকার এককভাবে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে না, তাই আমরা সরকারের পাশাপাশি বিরোধীদলের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেছিলাম। সরকারের সব কাজে সমালোচনার মাধ্যমে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করা যায়।
গতকাল (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই -এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য নিরাপদ সড়ক চাই যে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে আসছে তা আজ দেশের মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছি। নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি সবসময় নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু আমাকে সর্বদা কোনো না কোনো ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন বলা হয়েছিল আমি নাকি আওয়ামী লীগের লোক। আবার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন ট্যাগ দেওয়া হয়েছিল আমি নাকি বিএনপির লোক। ফলে আমরা যে কাজটি করতে চেয়েছি সেটি করতে পারিনি। এই ট্যাগ লাগানোর ভয়ে গত ১৫ বছর আমি কারও কাছে যেতে পারিনি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, যে মাফিয়া চক্র বিদ্যমান যারা সরকারকেও গোনে না তাদের এখনো ধরা হচ্ছে না কেন? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, পুলিশ কেন তাদের ধরতে পারছে না। কিসের এত ভয়? এত বছর পরও সড়ক নিরাপদ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় যে আধুনিকতা আনা দরকার সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো মাস্টারপ্ল্যান আমরা দেখিনি। প্রতিনিয়ত সড়কে গাড়ির চাপ বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এনা পরিবহনের মালিক এখন কোথায়, তাকে গ্রেফতার করা হয় নাই কেন। এনা পরিবহন এখন অন্য নামে চলছে।
ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক গোলাম মাওলানা রনি প্রমুখ ।