Search
Close this search box.

হাজার হাজার টন পণ্য আটকা পড়েছে ঘাট ও বন্দরে

লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ৪৫টি ঘাট ও চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আটকা পড়েছে হাজার হাজার টন পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে গম, মসুর ডাল, মটর ডাল, সয়াবিন বীজ, সার, কয়লা ও সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার ইত্যাদি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন নদীপথে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত লাইটার জাহাজের শ্রমিকেরা। সোমবার মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের সাতজনকে খুনের ঘটনার বিচার ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম বন্দর ও লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের তথ্য অনুযায়ী, কর্মবিরতির কারণে দেশের ৪৫টি ঘাটে ৭৩৮টি জাহাজে আটকা পড়ে প্রায় ১০ লাখ টন পণ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আটকা পড়েছে যশোরের নওয়াপাড়া ঘাট, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ঘাট, মেঘনা ঘাট ও সিরাজগঞ্জের ঘোড়াশাল ঘাটে।

সাত খুনের ঘটনার পরপরই প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নৌযান ফেডারেশন। এই চার দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাত খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার, নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান। তবে এ নিয়ে প্রশাসন কোনো আলাপ-আলোচনা করেনি সংগঠনটির সঙ্গে। ফলে কর্মবিরতি শুরু হয়ে যায়।

জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকেরা যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। জাহাজের সাত খুনের ঘটনায় খুব দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারা নেপথ্যে রয়েছে, তারও তদন্ত চলছে। নৌপথে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এর পরও তাদের সঙ্গে রোববার বসে আলোচনা করার জন্য বলেছি আমরা। তার আগে কর্মবিরতি যাতে প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য আমরা নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছি। আশা করছি, তারা দ্রুত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবে।’