Search
Close this search box.

সংস্কার দরকার, নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সংস্কার খুব বড় স্বপ্ন, ঐক্য তার জন্য দরকার, নির্বাচনেও যেতে হবে। কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ এসব কথা বলেন।

সংলাপে দেওয়া বক্তব্যে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংস্কারমুখী মানুষকে আইনশৃঙ্খলা না দিয়ে, তার খাওয়ার ব্যবস্থা না করে, চাকরির নিশ্চয়তা না দিয়ে বিপথে নিয়ে যাবেন না। সর্বোত্তম পেতে গিয়ে আমরা যেন উত্তমকে হারিয়ে না ফেলি। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে চাই, কিন্তু এই মুহূর্তের সমস্যাগুলো মনোযোগে না নিলে ওই জায়গাটায় পৌঁছানো যাবে না।’

সর্বজনীন মানবাধিকার থাকার ওপর গুরুত্ব দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া, নদীভাঙনের মধ্যে থাকা, আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়, নারী-পুরুষের ভেতরে বিভেদ, ধর্মীয় চিন্তার ভেতরে বিভেদ, লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে বিভেদ- সেই মানুষগুলোর বেঁচে থাকা, কথা বলা, সমাবেশ করা, জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার থাকবে- সেই নিশ্চয়তা আমাদের পেতে হবে। সেই ঐক্যের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে।একটা ন্যূনতম জায়গায় আমাদের একমত হতে হবে।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, কাঠামোগত প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর মধ্যে ঘাটতির বিষয় আছে। সেটা হলো, উপরিকাঠামো নিয়ে যতখানি আলোচনা হচ্ছে, এই দেশ-সমাজের ভিত্তি নিয়ে তত আলোচনা হয় না।

তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা চললেও অন্যান্য মানুষ কোথা থেকে মহার্ঘ ভাতা পাবে সেই আলোচনা শোনা যায় না। শিক্ষিত যুব সমাজের জন্য কোনো ভাতার প্রচলন হবে কি না, সেটাও শোনা যায় না।

শ্বেতপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না লুণ্ঠনের মাত্রাটা কী, কী ভয়ংকর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এটাকে ঠিক করতে হবে।’