কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজিজ তাহের খান দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বদলির আদেশ দিয়েছিল। সাবেক মহাপরিচালকের করা বদলিগুলো স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর সমকালে ‘দায়িত্ব ছাড়ার আগে বদলি বাণিজ্যে মহাপরিচালক’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বাকি দুজন হলেন- একই বিভাগের যুগ্ম–সচিব আনিসুল ইসলাম এবং উপ–সচিব মোহাম্মদ মিকাইল।
জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম বলেন, বদলি আদেশগুলো স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, সাত দিনে আদেশ হওয়া বদলিগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাচাই–বাছাই করে দেখছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানান, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। প্রতিটি বদলির ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (টিএসসি) ইনস্ট্রাক্টর, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর, হিসাব রক্ষক, ক্যাশ সরকার, কেয়ারটেকার, অফিস সহকারী ও পিয়ন (এমএলএসএস) পদে অন্তত দুই শতাধিক বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান। তিনি ২২ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে ডিজির করা এ গণবদলি নিয়ে জোরালো বিতর্ক উঠেছে।
দেখা গেছে, গণবদলির এই বিষয়টি যেন জানাজানি না হয়, সেজন্য বদলির বেশিরভাগ বদলি আদেশেই অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটউটের কোনো বদলি আদেশই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।