২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে সাত দেশের আট প্রতিষ্ঠান থেকে সোয়া ১৪ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান থেকে এই তেল আমদানি করা হবে। দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এ বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে অর্থাৎ জিটুজি ভিত্তিতে এ পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) এ তেল আমদানির জন্য গত ২৪ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
সাত দেশের আট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চীনের প্রতিষ্ঠান দুটি। বাকি ছয় দেশের ছয় প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি করা হবে এ জ্বালানি তেল। চীনের প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে পেট্রোচীনা এবং ইউএনআইপিইসি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ভারতের আইওসিএল, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, ওমানের ওকিউটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইউএনওসি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আমদানির করতে যাওয়া জ্বালানি তেলের মধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার টন, জেট এ-ওয়ান ১ লাখ ৯০ হাজার টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার টন।