বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঐক্যের সাথে দেশটাকে নির্মাণ করার যে পথরেখা দেখাবে, এই জায়গায় আমাদের এখনো ব্যর্থতা আছে।’
আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জাহেদা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আল আবদুল্লাহ, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আ ন ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল জব্বার, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা রাজনীতি করছি, আমাদের ব্যর্থতা ৫৩ বছরেও বাংলাদেশকে একটা সুখী, শান্তিময়, প্রেমময় দেশ গড়তে পারলাম না। আমরা রাজনীতি নিয়ে সংকীর্ণতায় ভুগি এবং নৈতিকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছি। আমরা যে গর্বিত জাতি, কিছুদিন আগেও সেটা বলতে পারিনি। এখন আবার সেই আশা জেগে উঠেছে, আমরা একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী, সুন্দর, প্রেমময়, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করবার, আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমাদের গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঐক্যের সাথে দেশটাকে নির্মাণ করার যে পথরেখা দেখাবে, এই জায়গায় আমাদের এখনো ব্যর্থতা আছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু গণতন্ত্রের চর্চা করি না। ১৫ বছর ভোট দিতে পারিনি। এ কেমন গণতন্ত্র, যেখানে মানুষ তার অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশে পরপর গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে এখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যদি সহনশীলতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে সত্যিকার গণতন্ত্র লাভ হবে। আমরা অধিকার অর্জন করতে পারব।’