বাংলাদেশের জেলা আদালতে কর্মরত ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন না। আজ রোববার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ভারতের ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুমতি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত গত ৪ জানুয়ারি বাসস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ার অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এই বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
বাসসের প্রতিবেদনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশিক্ষণ) আবুল হাসানাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করার কথা ছিল। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
আজ আগের অনুমতি বাতিল করে চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর জজসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে।